কক্সবাজার, ১৩ মার্চ ২০২৫: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম (অব.), ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য জনাব মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদা আলম মিতু ক্যাম্পে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার জনগোষ্ঠীর জন্যে পরিচালিত সোসাইটি’র চলমান মানবিক কার্যক্রমসমুহ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিডিআরসিএস-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্যগণ ক্যাম্প পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) এবং মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) অধীনে পরিচাণিত বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডসমুহ পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি এই সমস্যার টেকসই সমাধান ও দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ড. কবির মো: আশরাফ আলম (এনডিসি); মোঃ মিজানুর রহমান, পরিচালক, ডিজাস্টার রেসপন্স; আকরাম আলী খান, পপুলেশান মুভমেন্ট অপারেশান (পিএমও) এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান; হৃষিকেশ হরিচন্দন, আইএফআরসি-র হেড অফ সাব-অফিস; কাতার রেড ক্রস সোসাইটি, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম প্রধান মোহাম্মদ থাবেত সাফি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অনান্য উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, তিনি রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবগত হন এবং মানবিক সহায়তার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পরিদর্শনকারী দলটি ক্যাম্প-১৩-এ রমজান ফুড পার্সেল বিতরণ কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছিল।
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে, বিডিআরসিএস’র চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্যগণ, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রেড ক্রস রেড রেড ক্রিসেন্ট’র অংশীদারদের উপস্থিতিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন।
আলোচনা সভায়, আর্তমানবতার সেবায় বিডিআরসিএস’র অঙ্গীকার প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন-“বিডিআরসিএস কার্যকর ও টেকসই সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেক্ষেত্রে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদা পুরণে দাতা সংস্থাগুলোর অর্থ সহায়তার ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
তিনি আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন (আইএফআরসি) এবং অন্যান্য ও দাতা ও অংশীদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে, যারা এই মানবিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছেন।
সোসাইটির চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম (অব.) আরো বলেন, “সরকারের সহায়ক সংস্থা ও মানবিক সংকটে প্রথম সাড়াদানকারী সংস্থা হিসেবে হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আশাকরি এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করে আসছে। তখন থেকে বিডিআরসিএস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি), পার্টনার সোসাইটি, ইউএনএইচসিআর এর সহযোগতিায় এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি), স্থানীয় জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন-এর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) এবং মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) বাস্তবায়ন করে আসছে।